সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করার জন্য সরকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক ও অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে একটি সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনের মূল লক্ষ্য দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা করে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সই করা একটি প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবিধান সংস্কার কমিশনে আরও আটজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, যারা বিভিন্ন পেশা এবং ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ।
কমিশনের সদস্যরা হলেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও মুহাম্মদ ইকরামুল হক,
বার-এট-ল ইমরান সিদ্দিকী,
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া,
বার-এট-ল এম মাঈন আলম ফিরোজী,
লেখক ফিরোজ আহমেদ,
লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ,
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে মো. মাহফুজ আলম।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কমিশন ৬ অক্টোবর ২০২৪ থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। কমিশনের কাজ হবে সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করা এবং এই সুপারিশগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া।
কমিশনের প্রধান এবং সদস্যরা সরকারের নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে কোনো সদস্য চাইলে অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, যার অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টা দিতে পারবেন। কমিশনের কাজের সহায়তা করতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতাও রাখে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি সংস্থাগুলো কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
এই কমিশন গঠনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।