ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার একটি অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমান বয়সসীমা নির্ধারণ করে, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের খসড়া আগামী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সদ্য নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশিদ বুধবার তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আগামী বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যা বিভিন্ন দেশের চাকরির বয়সসীমা ও আন্তর্জাতিক মান পর্যালোচনা করে ৩৫ বছরের বয়সসীমা নির্ধারণের সুপারিশ করে। নারী কর্মীদের জন্য বয়সসীমা আরও ২ বছর বাড়িয়ে ৩৭ বছর করার সুপারিশও করা হয়েছে, যাতে তারা পারিবারিক বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন।
কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এই সুপারিশগুলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং নারীদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।