তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত আট ছাত্রকে বহিষ্কার

Date: 2024-09-21
news-banner

স্বাধীন ডেস্ক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল  হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। একইসঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুমকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে— মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ (পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট), জালাল মিয়া (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), আবদুস সামাদ (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), সুমন মিয়া (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ), আল হোসাইন সাজ্জাদ (ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ), আহসান উল্লাহ (গণিত বিভাগ), ওয়াজিবুল আলম (সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ), এবং ফিরোজ কবির (উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ)। এদের মধ্যে ফিরোজ কবির ও আবদুস সামাদ ছাড়া বাকিদের ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা হল প্রশাসনের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল, হল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত এই আট শিক্ষার্থীর আবাসিক সিট বাতিল করেছিল।

ঘটনার দিন তোফাজ্জল হত্যার সময় ও পরে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুমের অবহেলার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঘটনার পর পুরো রাত পেরিয়ে গেলেও প্রাধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে আসেননি এবং তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও সাড়া মেলেনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদও তাকে ফোন দিয়ে পাননি। ঘটনার পরদিন সকালে (সকাল ৭টা) প্রক্টরসহ সহকারী প্রক্টররা হলে উপস্থিত হলে প্রাধ্যক্ষ ড. মাসুম ঘটনাস্থলে আসেন। এই দেরি ও দায়িত্বহীনতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি জানানো হয় এবং এর প্রেক্ষিতে অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুমকে তার প্রাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তোফাজ্জলের নির্মম হত্যাকাণ্ড ও এ ঘটনায় প্রাধ্যক্ষের উদাসীনতা নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।


Leave Your Comments