বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ আংশিক ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, তবে সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য।" তরুণ প্রজন্মের কাছে ৭ নভেম্বরের ইতিহাস তুলে ধরতে এই কর্মসূচি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। ফখরুল জানান, যারা গত ১৫ বছরে বিকৃত ইতিহাস পেয়েছে, তাদের সামনে সেই সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করাই বিএনপির উদ্দেশ্য।
এর আগে, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অংশগ্রহণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় নেতারা বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতারা ৭ নভেম্বরকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থেকে মুক্তি পান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন। বিএনপির সরকারের আমলে দিনটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হতো। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মতে, এদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের মৃত্যুর কারণে এটি "মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস" হিসেবে পালিত হওয়া উচিত।
দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিএনপি নেতারা বলেন, সাংগঠনিকভাবে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে দলটি।