ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর গোটা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হত্যাকাণ্ডের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে ইরাকেও, যেখানে হাজার হাজার মানুষ শনিবার রাতে বাগদাদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস দখলের চেষ্টা করেন, তবে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাদের প্রতিহত করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে।
বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র এবং তার দোসররা কোনো দিন বিজয় অর্জন করতে পারবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তারা সব সময় আমাদের ওপর নজরদারি করছে, কিন্তু মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই। তাই তারা বেইমানির পথ বেছে নিয়েছে।"
শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, এই হামলায় সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বাইরে প্রায় সব দেশই এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুপক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানান।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই হত্যাকাণ্ড ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইরাক, ইরান, সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলোতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতাকে আরও তীব্র করবে এবং ভবিষ্যতে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলবে।