বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। এই বক্তব্যে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, যদিও তিনি মনে করেন যে এই সময়সীমা তার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি দীর্ঘ।
জয় রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অর্থবহ সংস্কার এবং নির্বাচন সম্ভব নয়। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা, যার ফলে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসন শেষ হয়। এরপর নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়, যা ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।
এখনও নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, আওয়ামী লীগের শাসনের ক্ষত সারানোর জন্য সংস্কার প্রয়োজন, পরে নির্বাচন হবে। সেনাবাহিনী ইউনূস সরকারের সমর্থনে রয়েছে এবং সেনাপ্রধান বলেছেন, সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ হওয়া উচিত।
জয় সেনাপ্রধানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জানান, শেষ পর্যন্ত একটা সময়সূচি পাওয়া গেছে, যা তাকে খুশি করেছে। তবে তিনি ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
বাংলাদেশের আরেক প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সংস্কারের জন্য গঠিত ছয় কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। নির্বাচনের তারিখ তখনই ঘোষণা করা হবে।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি, এবং আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বৈধভাবে সংস্কার ও নির্বাচন করা অসম্ভব। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা নিহত হয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, যা নির্বাচনি সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবেন।
জয় বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তবে কবে তিনি দেশে ফিরবেন, তা তার উপর নির্ভর করছে।