সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ঢাকায় এক মশাল মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি রাজধানীর পুরানা পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, প্রেস ক্লাব, বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড় হয়ে আবার আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, "সুইজারল্যান্ডে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারীরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী। এই ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দাবি করছি, হেনস্তাকারীদের পাসপোর্ট বাতিল করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন উপদেষ্টার সফরসূচি বা ফ্লাইটের তথ্য সন্ত্রাসীদের কাছে কীভাবে পৌঁছালো, তা খতিয়ে দেখা দরকার। এর সঙ্গে বাংলাদেশ মিশনের কেউ জড়িত কিনা, তা তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।"
আবু হানিফ আরও বলেন, "জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ ছিল, কিন্তু একটি গোষ্ঠী এখন ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ স্পষ্ট করতে হবে, তা না হলে জনগণের মধ্যে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে।"
গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতারা মশাল মিছিলের পর আওয়ামী লীগ ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নিন্দা করেন। যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, “আওয়ামী লীগের কোন অনুশোচনা নেই। এ সরকার বছরের পর বছর বর্বর শাসন, গুম, খুন এবং নির্যাতন করেছে। তাদের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে, তাদের সংগঠন নিষিদ্ধ করা দরকার।”
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদসহ আরও কয়েকজন নেতা এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।