বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, এখনও অনেকেই তাদের অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে সচিবালয়, পুলিশ এবং বিচার বিভাগ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “যারা সচিবালয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের মনে রাখা উচিত, আপনাদের নেতৃত্ব আর দেশে ফিরে আসবে না। বাস্তবতা মেনে নিন।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগ এবং এর সঙ্গে যুক্ত ফ্যাসিস্ট আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।
হাসনাত বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে হাসিনা সরকার বিএনপি-জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দলকে দমন করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। কিন্তু আমাদের ডাকে জনগণ রাস্তায় নেমে এলে হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। খুনি হাসিনা এ দেশে আর ফিরতে পারবে না।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের ক্ষমতা গ্রহণের পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি থামেনি। সিন্ডিকেটের হাত শুধু বদল হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এসব সিন্ডিকেটের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে আলেম হত্যা, এবং গত ১৬ বছরের গুম-খুনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান। “দেশের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। আমাদের অন্য কোনো শত্রু নেই,” বলেন তিনি।
হাসনাত আরও জানান, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। “আপনারা জেলায় জেলায় পাড়া-মহল্লায় মানুষের কাছে যাবেন, তাদের কথা শুনবেন, তাদের পাশে থাকবেন। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং ঘোষণাপত্র নিয়ে পুনরায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে,” তিনি যোগ করেন।
সমাবেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং দেশের সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করেন।