২৬ নভেম্বর, বিশ্বব্যাপী কেকপ্রেমীদের জন্য বিশেষ একটি দিন। এই দিনটি কেক দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। কেক, যা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে, এখন উদযাপনের এক অপরিহার্য উপাদান। জন্মদিন, বিয়েবার্ষিকী কিংবা যে কোনো পারিবারিক উৎসব কেক ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ।
বিশ্বাস করা হয়, প্রথম কেকটি প্রাচীন গ্রিস বা মিশরে তৈরি করা হয়েছিল। সেই কেক ছিল ভারী এবং সমতল, যা মূলত বাদাম ও মধু দিয়ে তৈরি হতো এবং খাবারের শেষে পরিবেশন করা হতো। পরবর্তীতে প্রাচীন রোমানরা এই মিষ্টি খাবারের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করে, যা আরও ক্রিমি ও সমৃদ্ধ ছিল।
প্রাচীন যুগে কেক দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে উপাসনালয়ে নিবেদন করা হতো।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে "কেক" শব্দটি প্রথম অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে যুক্ত হয়। এর দীর্ঘ ইতিহাসে বিভিন্ন সময় কেক বিভিন্ন রূপ নিয়েছে। গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে সাশ্রয়ী খাবারের প্রয়োজন মেটাতে বাক্সজাত কেকের ধারণা তৈরি হয়। এটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং গৃহিণীদের জীবনকে সহজ করে তোলে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে পশ্চিম ইউরোপে কেক জন্মদিন উদযাপনের অংশ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। একই সময়ে কেকের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালানোর রীতিও চালু হয়, যা এখন সারা বিশ্বের একটি প্রচলিত প্রথা।
কেক দিবসে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কেক ভাগাভাগি করে খাওয়া দিনটির সেরা উদযাপন। এটি উদযাপনে বিভিন্ন ধরনের কেক খাওয়া যেতে পারে, যেমন দারুচিনি কফি কেক, পাউন্ড কেক, বান্ডট কেক বা স্ট্রবেরি শর্টকেক। কাছের বেকারিতে গিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে পছন্দের কেক খাওয়ার মাধ্যমে দিনটি আরও উপভোগ্য করা যায়।
আজকের দিনটি কেকপ্রেমীদের জন্য আনন্দের। সুস্বাদু কেক তৈরি করা, খাওয়া কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা—এই দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে পারে।