আজ ১ নভেম্বর বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান সাহিত্যিক আবু ইসহাকের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৬ সালের এই দিনে তৎকালীন মাদারীপুর জেলার (বর্তমান শরীয়তপুর) নড়িয়া থানাধীন শিরঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাসের লেখক হিসেবে পরিচিত এই প্রতিভাবান সাহিত্যিকের সাহিত্যিক জীবন ছিলো গভীর চিন্তাচেতনা ও সামাজিক দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত।
শুধু একুশ বছর বয়সে ১৯৪৬ সালে লেখেন তাঁর কালজয়ী উপন্যাস 'সূর্য দীঘল বাড়ী'। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবন, দুঃখ-কষ্ট ও সংগ্রামের গল্প নিয়ে রচিত এই উপন্যাসটি ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় এবং তৎক্ষণাৎ পাঠক মহলে আলোড়ন তোলে। এটি আজও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা সামাজিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য হয়।
আবু ইসহাক শুধুমাত্র একজন লেখকই ছিলেন না, তিনি দেশসেবায়ও তাঁর জীবন নিবেদন করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের বাইরেও কূটনৈতিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। আকিয়াব ও কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাইস-কনসাল এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয়। দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাঁর এই অবদান তাঁকে আরও প্রণিধানযোগ্য করে তোলে।
২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গুণী সাহিত্যিক। তবে তাঁর রচনাশৈলী ও সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে তিনি আজও বেঁচে আছেন বাঙালির হৃদয়ে।