৫ম গনবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে যারা এখনো যোগদান করতে পারেন নাই তাদের করণীয়

Date: 2024-09-21
news-banner

স্বাধীন ডেস্ক :

সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। তবে প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেননি। এ কারণে তাঁদের নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এই সমস্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করছে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান ভুলভাবে শিক্ষক চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠিয়েছেন, যেখানে আসলে শূন্যপদ ছিল না। এছাড়া, কোথাও কোথাও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে, যেখানে প্রার্থীদের কাছে যোগদানের জন্য ঘুষ দাবি করা হয়েছে। এসব কারণের জন্য প্রার্থীরা সময়মতো যোগদান করতে পারেননি।

এনটিআরসিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করা হবে। যদি প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলের কারণে শিক্ষকরা যোগদান করতে না পারেন, তাহলে তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানালে এনটিআরসিএ বিষয়টি তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে পুনরায় সুপারিশ করতে পারে।

এনটিআরসিএর সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী এই সমস্যার বিষয়ে বলেন, "প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলের দায় প্রার্থীরা কেন নেবেন? প্রার্থীরা যদি ভুল চাহিদা নিয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে এনটিআরসিএ তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।"

এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২১ সালের ২৮ মার্চ জারি করা সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮(ঘ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে অবশ্যই নিয়োগ দিতে হবে। যদি অতিরিক্ত চাহিদা দেওয়া হয়, তবে সেই শিক্ষক বা কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকেই নির্বাহ করতে হবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন-ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হতে পারে, এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এনটিআরসিএ থেকে প্রার্থীদের বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষক বিভিন্ন কারণে যোগদান করতে পারেননি, তাঁদের আবেদনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে। যদি প্রার্থীদের যোগদান প্রক্রিয়ায় জটিলতা থাকে, তবে সেই সংক্রান্ত অভিযোগ লিখিত আকারে জমা দিলে এনটিআরসিএ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে, শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে যোগদান করতে না পারায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। বিশেষত, গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে। তবে এনটিআরসিএ এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কাজ করছে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সময়মতো তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।


Leave Your Comments