২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর সন্ধ্যায় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে তারেক রহমান দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন, "সত্যের সৌন্দর্য হলো এটি অনিবার্যভাবে প্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জয়ী হয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা আমাদের আশ্বস্ত করেছে।"
তারেক রহমান বলেন, "আমরা একত্রিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিশোধের কালচার বন্ধ করতে চাই এবং ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই। যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন বা পরিবার ধ্বংস হবে না।"
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন। "আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রেখে একটি সহনশীল সমাজ গড়তে চাই," বলেন তারেক রহমান।
এই রায়কে বিএনপির পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের জয় বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা এই রায় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা গুরুতর আহত হন এবং ২৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযুক্ত হন। তবে হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ে তাদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে।